ইংরেজি বর্ণমালা: ইতিহাস, গঠন ও বিবর্তন
১. ভূমিকা
ইংরেজি বর্ণমালা (English Alphabet) বর্তমানে ২৬টি অক্ষর নিয়ে গঠিত, যা A থেকে Z পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বর্ণমালার প্রতিটি অক্ষরের রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস, উচ্চারণ এবং ব্যবহারের ধরণ। এই নিবন্ধে আমরা ইংরেজি বর্ণমালার উৎপত্তি, গঠন, উচ্চারণের নিয়ম, এবং এর বিবর্তন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
২. ইংরেজি বর্ণমালার উৎপত্তি
ইংরেজি বর্ণমালার ইতিহাস বহু প্রাচীন। এর শিকড় খুঁজে পাওয়া যায় প্রাচীন সেমিটিক (Semitic) লিপিতে, যা খ্রিস্টপূর্ব ১৭০০ থেকে ১৫০০ সালের মধ্যে উদ্ভব হয়েছিল। এই লিপি থেকে ফিনিশীয় (Phoenician) লিপির জন্ম, যা পরবর্তীতে গ্রিক এবং রোমান লিপিতে রূপান্তরিত হয়।
২.১ সেমিটিক ও ফিনিশীয় লিপি
সেমিটিক লিপি ছিল একটি ব্যঞ্জনবর্ণভিত্তিক লিপি, যা প্রাচীন হিব্রু, আরামাইক এবং আরবি ভাষার জন্য উপযুক্ত ছিল। ফিনিশীয়রা এই লিপিকে আরও উন্নত করে একটি পূর্ণাঙ্গ বর্ণমালা তৈরি করে, যা পরবর্তীতে গ্রিকদের দ্বারা গ্রহণ করা হয়।
২.২ গ্রিক ও রোমান লিপি
গ্রিকরা ফিনিশীয় লিপিকে গ্রহণ করে তাতে স্বরবর্ণ যুক্ত করে একটি সম্পূর্ণ বর্ণমালা তৈরি করে। এই গ্রিক বর্ণমালা পরবর্তীতে রোমানরা গ্রহণ করে এবং তা থেকেই লাতিন বর্ণমালার উদ্ভব হয়, যা আধুনিক ইংরেজি বর্ণমালার ভিত্তি।
৩. ইংরেজি বর্ণমালার গঠন
বর্তমানে ইংরেজি বর্ণমালায় ২৬টি অক্ষর রয়েছে, যা দুটি ভাগে বিভক্ত: স্বরবর্ণ (Vowels) এবং ব্যঞ্জনবর্ণ (Consonants)।
৩.১ স্বরবর্ণ (Vowels)
স্বরবর্ণ পাঁচটি: A, E, I, O, U। তবে Y কখনও কখনও স্বরবর্ণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেমন "myth" বা "gym" শব্দে।
Duolingo Blog
৩.২ ব্যঞ্জনবর্ণ (Consonants)
বাকি ২১টি অক্ষর ব্যঞ্জনবর্ণ: B, C, D, F, G, H, J, K, L, M, N, P, Q, R, S, T, V, W, X, Y, Z।
৪. ইংরেজি বর্ণমালার উচ্চারণ
ইংরেজি বর্ণমালার প্রতিটি অক্ষরের উচ্চারণ নির্ভর করে শব্দের প্রেক্ষাপটে। একই অক্ষর বিভিন্ন শব্দে বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হতে পারে।
৪.১ অক্ষরের নাম ও উচ্চারণ
প্রতিটি অক্ষরের একটি নির্দিষ্ট নাম এবং উচ্চারণ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:
A: /eɪ/ (এ)
B: /biː/ (বি)
C: /siː/ (সি)
D: /diː/ (ডি)
E: /iː/ (ই)
F: /ɛf/ (এফ)
G: /dʒiː/ (জি)
H: /eɪtʃ/ (এইচ)
I: /aɪ/ (আই)
J: /dʒeɪ/ (জে)
K: /keɪ/ (কে)
L: /ɛl/ (এল)
M: /ɛm/ (এম)
N: /ɛn/ (এন)
O: /oʊ/ (ও)
P: /piː/ (পি)
Q: /kjuː/ (কিউ)
R: /ɑːr/ (আর)
S: /ɛs/ (এস)
T: /tiː/ (টি)
U: /juː/ (ইউ)
V: /viː/ (ভি)
W: /ˈdʌbəl.juː/ (ডাবল ইউ)
X: /ɛks/ (এক্স)
Y: /waɪ/ (ওয়াই)
Z: /ziː/ বা /zɛd/ (জি বা জেড)
ব্রিটিশ ইংরেজিতে Z উচ্চারিত হয় "জেড" এবং আমেরিকান ইংরেজিতে "জি"।
৪.২ উচ্চারণের বৈচিত্র্য
ইংরেজি ভাষায় অনেক অক্ষরের উচ্চারণ বিভিন্ন শব্দে ভিন্ন হতে পারে। যেমন, "C" অক্ষরটি "cat" শব্দে /k/ এবং "city" শব্দে /s/ উচ্চারিত হয়।
৫. ইংরেজি বর্ণমালার বিবর্তন
ইংরেজি বর্ণমালার গঠন সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে।
৫.১ পুরাতন ইংরেজি (Old English)
পুরাতন ইংরেজিতে লাতিন বর্ণমালার পাশাপাশি কিছু অতিরিক্ত অক্ষর ব্যবহৃত হতো, যেমন: Æ (ash), Þ (thorn), Ƿ (wynn), এবং Ð (eth)। এই অক্ষরগুলি পরবর্তীতে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
৫.২ মধ্য ইংরেজি (Middle English)
নরম্যান বিজয়ের পর ইংরেজি ভাষায় ফরাসি প্রভাব পড়ে এবং অনেক নতুন শব্দ ও অক্ষর যুক্ত হয়। এই সময়ে ইংরেজি বর্ণমালার গঠন আরও স্থিতিশীল হয়।
৫.৩ আধুনিক ইংরেজি (Modern English)
১৬শ শতকে ইংরেজি বর্ণমালার ২৬টি অক্ষর স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে "&" (ampersand) একসময় ২৭তম অক্ষর হিসেবে বিবেচিত হতো।
Busuu
৬. ইংরেজি বর্ণমালার ব্যবহার
ইংরেজি বর্ণমালা শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষায় নয়, বিশ্বের অনেক ভাষায় ব্যবহৃত হয়। এটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
৭. উপসংহার
ইংরেজি বর্ণমালা একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস ও বিবর্তনের ফল। এর প্রতিটি অক্ষরের রয়েছে নিজস্ব পরিচয়, উচ্চারণ, এবং ব্যবহার। এই বর্ণমালার জ্ঞান ইংরেজি ভাষা শেখার প্রথম ধাপ এবং এটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন